,

ফরিদপুরে বেড়েছে সবজির দাম, দিশেহারা নিম্নআয়ের মানুষ

সনত চক্র বর্ত্তী ফরিদপুর

ফরিদপুরে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ফলে অস্বস্তিতে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সবজি কেনা অসাধ্য হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা ক্রেতাদের। আর ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে সবজির।

ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে গোল বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কচুরমুখি ৭০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা,বরবটি প্রতি কেজি ৫০,উচ্ছে ৬০ আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকা,এক হালি কাচ কলা৩০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাচা মরিচ প্রতি কেজি খুচরা ৩০০ টাকা, এক ফালি মিষ্টিকুমড়া ৪০-০৫ টাকায় কিনতে হয়েছে ক্রেতাকে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদের পর কাঁচাবাজারে ক্রেতা থাকে কম। পণ্যের দামও থাকে কিছু কম। প্রতিবারের এই চিত্রের ব্যতিক্রম ঘটেছে এবার। ক্রেতা কম থাকলেও দাম বেড়েছে বেশির ভাগ সবজি। কাঁচা মরিচের দাম তো লাফাতে লাফাতে ৩০০ টাকায় পৌঁছে গেছে। কোরবানির ঈদের পর চাহিদা কম থাকা মাংসের দামও বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা সবজির দাম বেশি চাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্টি দেখা গেছে। সবজি কিনতে আসা মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘শাকসবজির পাশাপাশি হঠাৎ করে মরিচের দামও অনেক বেড়ে গেছে। ঈদের পরদিনও ১৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম। আজ ৩০০ টাকা কেজি।

বিপুল বিশ্বাস নামে এক ব্যবসায়িক বলেন, ঈদের কারণে মরিচ ও কিছুু সবজির দাম বেড়ে গেছে। আমরা মনে করছি এমন দাম থাকবে না। আস্তে আস্তে এটা কমে আসবে।

ফরিদপুর কাঁচা বাজারের সামনে থেকে কথা হয় মতিউর রহমানের সাথে, তিনি বলেন আমি
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি।সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে , ‘আলুর দাম ৬০ টাকা। ডিমের হালি ৫০-৫২ টাকা। বাজারে গেলে দাম শুনে আঁতকে উঠতে হয়। আমরা যারা ছোট চাকরি করি, তাদের জন্য সংসার চালানো খুব কষ্ট হয়ে পড়ছে।

ফরিদপুর ক্যাব এর সভাপতি মোঃ ফয়েজ আহমেদ বলেন ‘বাজারে অদৃশ্য হাতের কারসাজি হচ্ছে। এখন এ কারসাজি বন্ধ করতে হলে কঠোর তদারকি প্রয়োজন। তাহলে কারসাজি বন্ধ করা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category